Wednesday, August 29, 2018

জাতিসংঘের প্রতিবেদন মিয়ানমারের প্রত্যাখ্যান

জাতিসংঘের প্রতিবেদন মিয়ানমারের প্রত্যাখ্যান - এএফপি
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের বিষয়ে দেওয়া জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার সরকার।
রাখাইনে রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ সেনাবাহিনীর অভিযানের বিষয়ে দেওয়া জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার সরকার। মিয়ানমার সরকারের এক মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন বলে এএফপি সংবাদ প্রচার করেছে। 
মিয়ানমার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউজ লাইট খবর প্রকাশ করে। যেখানে সরকারের মুখপাত্র জ হতে জানান, ‘আমরা জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান মিশনকে মিয়ানমারে ঢুকতে দিইনি। তাই মানবাধিকার পরিষদের দেওয়া বক্তব্যের সাথে একমত নই এবং মানবাধিকার কাউন্সিলের সুপারিশ গ্রহণ করতে পারছি না।’ 
গত ২৭ অগাস্ট জাতিসংঘ গঠিত স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের উদ্দেশ্যই ছিল গণহত্যা। এ জন্য মিয়ানমারের সেনারা সেখানে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা ও ধর্ষণ করেছে। ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। 
রাখাইনে মানবতাবিরোধী এসব অপরাধের অভিযোগে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংসহ ছয় জেনারেলকে বিচারের মুখোমুখি করার সুপারিশ করা হয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনে।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদন নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরুর পর এই প্রথম মিয়ানমার সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এল।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত এক বছর ধরে মাঠপর্যায়ে কাজ করে অন্তত ৮৭৫ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদন তৈরি করে জাতিসংঘ। প্রতিবেদন তৈরিতে তারা ভিডিও ফুটেজ, স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করেছে। 
প্রতিবেদন প্রসঙ্গে জ হতে দাবি করেন, তার দেশ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেসব ‘ভুয়া’ অভিযোগ এ পর্যন্ত করেছে, সেগুলো তদন্তের জন্যও মিয়ানমার একটি কমিশন গঠন করেছে।  
জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের দিনই ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধানসহ শীর্ষ জেনারেলদের ১৮টি অ্যাকাউন্ট ও ৫২টি পৃষ্ঠা তারা বন্ধ করে দিচ্ছে।
গ্লোবাল নিউজ লাইট অব মিয়ানমারের প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে জ হতে জানান, মিয়ানমার সরকার কারো ফেইসবুক বন্ধ করতে বলেনি। ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ ওই পদক্ষেপ নিয়ে জনগণের মধ্যে ‘আতঙ্ক’ তৈরি করেছে। 
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদন আর ফেইসবুকের সিদ্ধান্ত ‘একই সূত্রে গাঁথা’ মন্তব্য জ হতে জানান, আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের কোনো রেজুলেশনর আমরা মেনে নেব না।”  ( কপি daily naya diganta)
Previous Post
Next Post
Related Posts

0 comments:

Thanks for visit my website. Feel free discussion from my any post and I will happy for suggestions.