প্রার্থী বাতিল ৭৮৬, বৈধ প্রার্থী ২২৭৯ - সংগৃহীত |
দু’হাজার ২৭৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে গণ্য হলেও ৭৮৬জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটাণিং কর্মকর্তারা। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ৩ হাজার ৬৫ জন ব্যক্তি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন গত ২৮ডিসেম্বর। আর রোববার যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াতে বিরাট ও রেকর্ড সংখ্যক ব্যক্তির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা একে আলী আজম জানান, ঢাকা সিটির ১৫টি আসনে ৫২টি মনোনয়নপত্র বাতিল এবং ১৬১টি মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষনা করা হয়। যেখানে ১৫টি সংসদীয় আসনে মোট ২১৩ জন প্রার্থীতার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
তার দেয়া তথ্যানুযায়ী, ঢাকা-৪ আসনে মোট ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। বাতিলের তালিকায় নাম রয়েছে গণফোরাম প্রার্থী নজরুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেনের নামও।
ঢাকা-৫ আসনে মোট ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাতিল করা হয় বিএনপির প্রার্থী সেলিম ভূঁইয়াসহ তিন জনের মনোনয়নপত্র। এ আসনে একজনের মনোনয়ন স্থগিত হয়েছে।
ঢাকা-৬ আসনে ১৩ জনের মধ্য ১০ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন। তবে বাতিল হয়ে গেছে ৩ জনের মনোনয়নপত্র।
ঢাকা-৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ১৯ জনের মধ্যে ১৪ জনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোাষণা হয়েছে। বাতিল হয়েছে বিএনপির প্রার্থী দলটির সাবেক নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তারসহ ৪ জনের প্রার্থীতা।
ঢাকা-৮ আসনে মোট ২২ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। তাদের মধ্যে বিএনপির মির্জা আব্বাস, মহাজোটে রাশেদ খান মেননসহ ১৪ জনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাতিল হয়েছে ৭ জনের।
ঢাকা-৯ আসনে মোট ১০ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসসহ তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। বাকিদের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষিত হয়েছে। এ আসনে ৮০টি মামলা নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন বিএনপির অপর প্রার্থী হাবিবুর রশিদ।
ঢাকা-১০ আসনে মোট ৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে ঋণখেলাপীর অভিযোগে গণফোরাম প্রার্থী খন্দকার ফরিদুল আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। আর এনবিআরে ৩ হাজার টাকা বকেয়া থাকায় জাতীয় পার্টি প্রার্থী হেলাল উদ্দিনের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়।
ঢাকা-১১ আসনে ১১ জন তাদের মনোনয়ন দাখিল করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার হলফনামায় ভুল থাকায় তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। বাকিদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা-১২ আসনে মোট ৮ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। তাদের সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এ আসনে ২৬৭টি মামলা নিয়েও বৈধতা পেয়েছেন সাইফুল আলম নিরব এবং ৭২টি মামলা নিয়ে উতরে গেছেন আনোয়ারুজ্জামান। একইভাবে ঢাকা-১৩ আসনে মোট ১২ জন প্রার্থীর সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়
ঢাকা-১৪ আসনে মোট ১৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। ঋণখেলাপী ও হলফনামায় ভুল তথ্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিকসহ ৫ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এ আসনে ১৪টি মামলা নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য বৈধতা পেয়েছেন বিএনপি নেতা মুন্সি বজলুল বাসিদ আনজু ও ৬টি মামলা নিয়ে আছেন বিএনপির আরেক নেতা সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক।
ঢাকা-১৫ আসনে মোট ১৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে ১৩ জনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়। ঋণখেলাপীর অভিযোগে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুকুল আমিনসহ তিন জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
ঢাকা-১৬ আসনে ১৯ জন মনোনয়ন দাখিল করেন। তাদের মধ্যে ঋণখেলাপী, হলফনামায় তথ্য ভুল থাকায় গণফোরামের প্রার্থী খন্দকার ফরিদুল আকবর, বিএনপির প্রার্থী একে মোয়াজ্জেম হোসেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আমানত হোসেনসহ ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
ঢাকা-১৭ আসনে মোট ২৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। বিএনপি প্রার্থী শওকত আজিজসহ ১১ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। সংশোধনের জন্য ২ জনের প্রার্থীতা স্থগিত করা হয়।
ঢাকা-১৮ আসনে মোট ১২ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন দাখিল করেন। তাদের সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণ করা হয়।
ঢাকার ছয় জেলায় ১১৬টিই বাতিল হয়েছে। বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৩৬৩টি মনোনয়নপত্র। তবে এখানে দাখিল ৪৭৭টি মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়। ঢাকা অঞ্চলের মানিকগঞ্জ জেলার তিনটি আসনে মোট ২৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে আটজনের মনোননয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। মুন্সিগঞ্জ জেলার তিনটি আসনে মোট ৩০জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে ছয়জনের মনোননয়ন বাতিল করা হয়েছে।
ঢাকা জেলার ২০টি আসনে মোট ২৬৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে ৭১ জনের মনোননয়ন বাতিল হয়েছে। গাজীপুর জেলার পাঁচটি আসনে মোট ৪৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে ১০ জনের মনোননয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
নরসিংদী জেলার পাঁচটি আসনে মোট ৪৭ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে সাতজনের মনোননয়ন বাতিল করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি আসনে মোট ৬১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে ১৪ জনের মনোননয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
(copy: daily nayadiganta)
0 comments:
Thanks for visit my website. Feel free discussion from my any post and I will happy for suggestions.